'সাহিত্যের ক্লাস'
মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন রচিত 'সাহিত্যের ক্লাস' বইটি যেন সাহিত্যের পাঠশালা। এই পাঠশালার ছাত্র হয়ে জেনে নেয়া যাবে সাহিত্য-চর্চার পথে থাকা শত বন্ধুরতা জয়ের উপায়। শেখা যাবে সাহিত্য-চর্চার কলাকৌশল।
প্রথমে লেখক শুরু করেছেন সাহিত্যের পরিচয় দিয়ে। বলেছেন সাহিত্য কাকে বলে, কেন-ইবা করবেন সাহিত্য-চর্চা। বর্ণনা দিয়েছেন সাহিত্য পা দেয়ার আগে যেসব বিষয় জানা থাকা দরকার সেসবের। সাহিত্য শেখার আগে ভাষা শেখার গুরুত্ব। এরপর তিনি এক পা দু'পা করে কীভাবে সাহিত্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে তার বর্ণনা দিয়েছেন নিপুনভাবে। বলেছেন শব্দ, শব্দ থেকে বাক্য, ক্ষুদে রচনার সামর্থ্য অর্জনের উপায়—পাশাপাশি নিজের রচনার ভুল ধরার উপায় সম্পর্কে।
এরপর তিনি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেছেন। প্রবন্ধ উপন্যাস ছোটগল্প কবিতা ইত্যাদির নাতিদীর্ঘ পরিচয় দিয়েছেন। এরপর আলোচনা করেছেন অনুবাদের কলাকৌশল, ধরণ ও গুরুত্বের ব্যাপারে। আলোচনা করেছেন অলঙ্কার, ছন্দ, রচনার বয়নশৈলি, পত্রিকায় লেখালেখি এসব বিষয়। পরামর্শ দিয়েছেন সাহিত্যের উদ্দেশ্যে বই পড়ার কৌশল নিয়ে।
'সাহিত্যের ক্লাস'—এই ক্লাসের একজন ছাত্র হয়ে একাধিকবার বইখানা আমি পড়েছি। ভাষা ও সাহিত্যের সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করেছি অনেক মণি-মুক্তো। খোয়াব রাখি এই মুক্তো দিয়ে একদিন নির্মাণ করব সাহিত্যের মালা।
নোট থেকে:
১."যে লেখা একবার পড়ে পাঠকের 'আশ' মিটে না, আরেকবার মন দিয়ে পড়বে বলে 'তাকে' তুলে রাখে তাকেই সাহিত্য বলে।"
২. "সাহিত্যের জন্য চাই—
(১) সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য।
(২) অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্যে পর্যাপ্ত উপাদান এবং
(৩) উপাদানকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলার জন্য ভাষার সৌকর্য শিল্প ও অলঙ্কার"
৩. "পাঠের পরিধি বাড়াবার লক্ষ্যে নয়—পাঠ হতে হবে শেকড়ে রস সংগ্রহ আর প্রাণে পুঁজি বাড়াবার লক্ষ্যে।"
বই: 'সাহিত্যের ক্লাস'
লেখক: মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন
প্রকাশনী: মাকতাবাতুল আখতার
Comments
Post a Comment