তিন বোকার গল্প
একবার একলোক তার ছেলেকে নিয়ে কাজির দরবারে হাজির হলো। কাজিকে সে বলল: "কাজি সাহেব, আমার ছেলে মদ খেয়ে সারাদিন মাতাল হয়ে পড়ে থাকে। নামায-কালামের ধার ধারে না।"
কাজি সাহেব ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলেন: "তোমার বাবা যা বললেন তা কি সত্য?"
ছেলেটি বলল: "মিথ্যা কথা! আমি পাঁচ অক্ত নামায পড়ি। মদটদ ছুঁইও না।"
তার বাবা বললো: "সে তো কুরআনই জানে না। কুরআন ছাড়া কোনো নামায আছে নাকি, অ্যাঁ?"
কাজি সাহেব বললেন: "তোমার বাবা ঠিক বলেছেন। তুমি কুরআন থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনাও।"
ছেলেটি প্রথমে 'বিসমিল্লাহ' বলল। তারপর একটা আলতু-ফালতু কবিতা কুরআনের আয়াত মনে করে আওড়াতে লাগল।
ছেলেটির বাবা নিজেও ছিল মূর্খ। সে বলল: "কাজি সাহেব, এই ছেলে গতকাল কুরআনের এই আয়াতগুলো মুখস্থ করেছে। তা-ও আমাদের প্রতিবেশির কুরআন চুরি করে।"
ছেলেটির বাবা-ও কবিতাটিকে কুরআনের আয়াত ভেবে বসেছে!
এরপর আসলো কাজি সাহেবের পালা। তিনি ছিলেন তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাথামোটা। এগুলো যে কুরআনের আয়াত না তা তিনি ঠাহর-ই করতে পারলেন না। তিনি ছেলেটিকে বললেন:
"আল্লাহর গযব পড়ুক তোর উপর!
তুই কুরআন তো ঠিকই পড়িস, কিন্তু সেটা অনুযায়ী চলিস কই?!"
.
[ইবনুল জাওযি গল্পটি তাঁর 'আখবারুল হামকা' বইয়ে এনেছেন৷ গল্পটির প্লট ঠিক রেখে বাংলায় রূপান্তর করেছি।]
Comments
Post a Comment